হিজলায় এসএসসি-তে অকৃতকার্য হওয়া দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার চেষ্টা

হিজলায় এসএসসি-তে অকৃতকার্য হওয়া দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার চেষ্টা

হিজলায় এসএসসি-তে অকৃতকার্য হওয়া দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার চেষ্টা

হিজলা প্রতিনিধি: মোঃ হাবিবুল্লাহ

 বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায়, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এবং অন্য এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাগুলো হিজলা উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুর গ্রাম এবং গুয়াবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকায় ঘটেছে।

 বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ বিকালে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর, খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামে এক শিক্ষার্থী অর্পিতা মাতব্বর (১৭) তার নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি বি সি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার সহপাঠীরা জানান, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় হতাশ হয়ে তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নেন।

অর্পিতার মৃত্যুতে তার পরিবার এবং সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ঘটনায় হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় সে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে, হিজলা উপজেলার ডাঃ খাদেম হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মুর্শিদা আক্তার ইমা (১৭), এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

 তিনি গুয়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের মোশারফ বিশ্বাসের মেয়ে। ইমাকে তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

 হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি এখনও সঙ্কটময় অবস্থায় রয়েছেন। এই দুটি ঘটনা গভীরভাবে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে, বিশেষত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে। যেহেতু শিক্ষা তাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি, পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ার হতাশা কিংবা সাফল্যের চাপ যে কখনো জীবনের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, তা আমাদের সবাইকে ভাবতে বাধ্য করে।

 অতএব, এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এবং অভিভাবকদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা এবং সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। সমাজের সকল স্তরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ এবং তাদের মানসিক চাপের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা অত্যন্ত জরুরি।